1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জুড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : পানি বন্দী লক্ষাধীক মানুষ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
  • ১৫৮ বার পঠিত

জুড়ী সংবাদদাতা :: টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।বন্যার ফলে, উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। মানুষ জন গরু বাছুর, হাঁস,মুরগিসহ অন্যান্য প্রাণী নিয়ে দূর্ভোগের সাথে দিনাতিপাত করছেন।অত্রাঞ্চলের বন্যার পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি এখন ভয়াবহতার রূপ ধারন করেছে।বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৯০ভাগ মানুষ অসহায় ও দূর্ভোগের সাথে যুদ্ধ করে কোনোরকমে বেঁচে আছেন। এ পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু ত্রাণ সহায়তার দরকার তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বন্যার্তদের জন্য প্রসাশনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতার প্রয়োজন তা তাদের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ অত্রাঞ্চলের বন্যার্তদের অনেকের। বন্যার পানি দিনদিন এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, অত্রাঞ্চলের বেশির ভাগ বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থান তলিয়ে গেছে। বন্যায় শত শত ফিশারীর মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর খামারীসহ অন্যান্য মানুষের গরু-বাছুর নিয়ে থাকার ব্যবস্থা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।অত্রাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ জনমাথা পেতে কোনো রকমে দূর্যোগের মধ্যে বেঁচে আছেন। এমতাবস্থায় তাদের দূর্ভোগের অন্ত নেই।এছাড়াও ২শতাধিক পোল্ট্রি খামারের ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় যাদের নৌকা কিংবা কলার ভেলা আছে তারা কোনো রকমে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারলেও,যাদের নেই তাদের কষ্টের অন্ত নেই।বন্যায় উপজেলার প্রায় সব সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরপরেও মানুষ জন বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য অধিক টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য স্থানে চলাচল করছেন। সরজমিনে গিয়ে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, হাকালুকির উত্তাল ঢেউয়ে মানুষ জনঘর-বাড়িতে থাকতে পারছেনা।তারপরও মানুষ জনজীবনকে বাজি রেখে মাচার উপর ঠাঁই নিয়েছে। এছাড়াও যারা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছে না তারা তাদের গরু-বাছুর ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বন্যা দূর্গতদেরজন্য প্রসাশনিক ভাবে যে সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র ও ত্রাণ সামগ্রী ব্যবস্থা করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায়অপ্রতুল। জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমতাবস্থায় বন্যা দূর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থান দেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ ও অনুরোধ জানিয়েছি। পাশাপাশি বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করিয়েছি।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..